মধু মাসের শ্রেষ্ঠ ফল আম। আর আমের রাজধানী বলে খ্যাত রাজশাহীর
 পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলার 
বানেশ্বর বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও আমের বাজার জমে উঠেছে।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলার প্রত্যন্ত এলাকার আম চাষীরা যেমন আম বিক্রয়ের 
জন্য এখানে আসে। তেমনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ 
ক্রেতা-বিক্রেতারা এই বাজারে ভিড় জমায়। চলতি বছরে প্রশাসনের নজর দারীর 
কারণে ব্যবসায়ীরা ফরমালিন মুক্ত আম বিক্রিয় করছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও আড়ৎ দারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিগত বছরের তুলনায় এবারে আমের দাম কিছুটা বেশি।
আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীরা জানান, আঁটি আম ৮’শ থেকে ১২’শ টাকা, 
নেংড়া আম ১৬ ’শ থেকে ২২’শ টাকা, লোকনা ৮ ’শ থেকে ১২ শত টাকা, রানী প্রসাদ 
১৫’শ থেকে ১৮’শ টাকা, খেড়সা আম ১৫’শ থেকে ২১’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পুঠিয়া উপজেলার ধলাট এলাকার আম বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, 
লোকনা আম বিগত বছরে ৪শত থেকে ৭শত টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এ বছরে ৮ শত 
থেকে ১১ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের কিছুটা লাভ হচ্ছে। কিন্তু কয়েক 
দফার ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আম ও আড়ৎ ব্যবসায়ী মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার রোজার পরে 
ফুলদমে আম হওয়ায় দাম অনেকটা বেশি । তবে আরও কয়েকদিন পর আমের দাম কিছুটা 
বাড়বে বলে তিনি জানান। এবার আম কত কেজিতে মণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এই 
এলাকার প্রচলিত নিয়ম মতে ৪৫/৪৬ কেজিতে এক মণ, এই নিয়মে আম ক্রয়-বিক্রয় হয়ে 
থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম মুনজুরে মাওলা জানান, 
চলতি বছরে উপজেলায় ১৫ শত ২৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গত বছর আমের ফলন 
ভাল হয়েছিল। চলতি বছরেও আমের ফলন ভাল হয়েছে কিন্তু কয়েক বারের ঝড়ে আমের 
অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে বর্তমানের আবহাওয়া অনুকূলে এবং দাম ভাল থাকায় আম 
বিক্রয় করে এবার কৃষক লাভবান হবে । এবং রাজশাহীর আমের সুনাম ধরে রাখার জন্য
 ফরমালিন মুক্ত আম বাজার জাত করতে যা করার দরকার তাই করছি বলে জানান এই 
কর্মকর্তা।
                                                 
                                            
উত্তর সমূহ